পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ১৯ বছর বয়সি দিদির মাথা কেটে নিল নাবালক ভাই। বিবাহিত মেয়েকে খুন করতে ছেলেকে সাহায্য করল মা। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, দিদির মাথা কেটে বারান্দায় সাজিয়েও রেখেছিল নাবালক। পুলিশ জানিয়েছে, কাটা মুণ্ডুর সঙ্গে সেলফিও তোলে মা-ছেলে। রবিবার এই ভয়ংকর ‘অনার কিলিং’-এর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে।
এদিকে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন, খুন করার পর বাড়ির খোলা বারান্দায় তরুণীর কাটা মুণ্ডু সাজিয়ে রাখে নাবালক। মা-ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, খুনের পর মেয়ের কাটা মুণ্ডুর সঙ্গে মা ও ছেলে সেলফিও তোলে। তবে খুন করার পরেই মা ও ছেলে স্থানীয় বীরগাঁও পুলিশ স্টেশনে হাজির হয়। আত্মসমর্পণও করে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত জুন মাসে পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন বছর উনিশের তরুণী কীর্তি থোরে। এরপর থেকে স্বামীর সঙ্গেই থাকছিলেন তরুণী। পরিবারের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। গত সপ্তাহে তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর মা। তাঁকে বাড়ি ফিরে আসতে বলা হয়।
সেই মতো রবিবার তরুণী তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বোনের বাড়িতে আসেন। কিছু পরে বোনের বাড়িতে আসে ওই তরুণীর মা ও ভাইও। এরপর তরুণী যখন মা ও ভাইয়ের জন্য রান্নাঘরে চা বানাচ্ছিলেন, অভিযোগ, সেই সময় ধারাল কাস্তে হাতে পেছন থেকে দিদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নাবালক ভাই।
অন্য দিকে মেয়ের পা জাপটে ধরে মা। যাতে করে তরুণী কোনওরকম প্রতিরোধ তৈরি করতে না পারে। এরপর ওই কাস্তে দিয়েই দিদির মাথা কেটে নেয় নাবালক ভাই। জানা গিয়েছে, দিদিকে খুন করার পর জামাইবাবুর উপরেও ঝাপিয়ে পড়েছিল নাবালক। কিন্তু তরুণীর স্বামী পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, তরুণী কীর্তি থোরে গর্ভবতী ছিলেন।