বিধানসভা ভোটে হারের পরই বিজেপির মুখদর্শন বন্ধ করে দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে বেসুরো হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তারপর প্রকাশ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিজেপির নেতা-নেত্রী ও রণকৌশলকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। অবশেষে গত ৩১ অক্টোবর আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সেই ঘটনার মাসাধিককাল পরও তাঁর নাম জ্বলজ্বল করছে সর্বভারতীয় বিজেপির সর্বোচ্চ মঞ্চ ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে!
তবে রাজীব একা নন। রাজ্য বিজেপির সংগঠনে এমন কাণ্ডের নজির অনেক। যেমন, বিজেপির হাওড়া জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুরজিৎ সাহা। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১০ নভেম্বর বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁকে। দলবিরোধী কাজের প্রসঙ্গ উঠলেই চলে আসছে সুরজিৎ সাহার নাম। তারপরও সেই সুরজিৎ সাহা রাজ্য বিজেপির ওয়েবসাইটে এখনও স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে দিব্যি বিদ্যমান। বিধানসভা ভোটে হারার পর থেকেই বেসুরো প্রবীর ঘোষাল। ঘাসফুলে ফিরে না গেলেও নিয়মিত লিখছেন তৃণমূল কংগ্রসের দলীয় মুখপত্রে। তারপরও তাঁর বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্যের ‘তকমা’য় হাত দিতে সাহস পাননি দিলীপ ঘোষ-সুকান্ত মজুমদাররা।
একইভাবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ ভাগে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে দলের সব পদ ছেড়েছেন অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথা পোস্টও করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতেও দলীয় ওয়েবসাইটে রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক হিসাবে সুমনের হাসিমুখের ছবি-সহ নাম জাজ্বল্যমান। নাম রয়েছে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্যদের তালিকাতেও। অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির সঙ্গে পথ হাঁটায় তাঁর আপত্তির কথা দল ও কেশব ভবনকে অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বিধানসভা ভোটে আমতা কেন্দ্রের পদ্মপ্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। সংঘের এই প্রাক্তন প্রচারক নিজের সংগঠন ‘হিন্দু সংহতি’-র কাজেই নিজেকে নিয়োজিত করতে চাইছেন। তারপরও স্থায়ী আমন্ত্রিত কমিটির সদস্য তালিকা থেকে তাঁর বাদ দেওয়া হয়নি।