একদিন সময় দিলাম! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক পরিকল্পনা জানান। নয়তো আদালত মধ্যস্থতা করতে বাধ্য হবে। দিল্লী বায়ুদূষণে এভাবেই ফের অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার। এমনটাই জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং সূর্যকান্তের বেঞ্চ।
বেঞ্চ বলেছে, ‘আপনারা যদি কোর্ট অর্ডার চান, আমরা তাই দেব। প্রয়োজনে প্রশাসক নিয়োগ করব, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র-রাজ্যকে যিনি পথ দেখাবে। কিন্তু একদিনের মধ্যে ইতিবাচক কিছু পরিকল্পনা নিয়ে আসুন। আমরা পদক্ষেপ আশা করছি। নয়তো আমাদের বাধ্য করবেন না।‘
তাদের পর্যবেক্ষণ দিল্লীর আম আদমি সরকার দূষণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেগুলো খাতায়-কলমে রয়ে গিয়েছে। কার্যকর করা হয়নি। বায়ু দূষণের কারণে দিল্লীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সোমবার অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর থেকে সেই রাজ্যে ফের খুলছে স্কুল-কলেজ। বুধবার এই ঘোষণা করেন পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। ১৩ নভেম্বর স্কুল-কলেজ-পাঠাগার বন্ধের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে চালু ছিল অনলাইন ক্লাস।
কিন্তু দুই সপ্তাহ বাদে ফের স্কুলে ফিরবে পড়ুয়ারা। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য সরকার কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করেছিল। সোমবার থেকে ফের অফিসে আসতে বলা হয়েছে সরকারি কর্মীদের। তবে সরকারি আবেদন, অফিস কিংবা কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতে যত বেশি সম্ভব গণপরিবহণ ব্যবহার করুক দিল্লীবাসী।
দিল্লী সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শুনেই ফের স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বলেছেন অনলাইন ক্লাস করে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একমাত্র যারা স্কুলে যেতে ইচ্ছুক, তাদের জন্যই ক্লাসরুম খোলা।‘
যদিও এই জবাবে অখুশি শীর্ষ আদালত। কোর্টের পাল্টা মন্তব্য, ‘আমাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি চালাবেন না। আপনি যখন বলছেন যারা আসতে চায়, তাঁরা আসুক। তখন সবাই আসবে। কে এখন বাড়িতে বসে থাকতে চায়।‘
এদিকে, দিল্লী দূষণ নিয়ে ফের জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের রাজ্যগুলোকে কটাক্ষ সুপ্রিম কোর্টের। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো দূষণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক নির্দেশিকা জারি করলেও, কার্যকর শুন্য। সোমবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে।