ইউপিএ নিয়ে গতকালই বড় মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মোদী তথা বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ কংগ্রেস, এই তত্বকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা যুক্তি দিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কে দেবে তা নির্ধারিত হোক গণতান্ত্রিক উপায়ে।’
নজরে দিল্লী, আপাতত গোটা দেশে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের পর্যবেক্ষণ জাতীয় স্তরে তৃণমূলের এই উল্কা উত্থানের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর প্রশান্ত কিশোর। এদিকে, স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি এবং অদিত্য ঠাকরে-শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর বৈঠক জাতীয় রাজনৈতিতেও বহু সমীকরণ বদলে দিয়েছে। পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ইউপিএ আবার কী! ইউপিএ বলে কিছু নেই এখন’। এরপরেই কার্যত তোলপাড় হয় রাজনৈতিক মহল। ক্ষুব্ধ হন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সার্বিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে প্রশান্ত কিশোরের নতুন টুইট অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ এবং অর্থবহ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের যে পরিসর রয়েছে তা শক্তিশালী বিরোধীতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু, কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়া কোনও একটি ব্যক্তির ভগবান প্রদত্ত অধিকার হতে পারে না, বিশেষত যখন দল গত ১০ বছরে দল যখন ৯০ শতাংশেরও বেশি নির্বাচনে হেরেছে। এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কে দেবে তা নির্ধারিত হোক গণতান্ত্রিক উপায়ে।’ স্পষ্ট করে কিছু না বললেও তাঁর তোপ যে আদতে গান্ধী পরিবারের দিকেই তা মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।