চায়ের দোকানে সামান্য বচসাই বদলে গেল বড়সড় অশান্তিতে। আর তার ফলে এবার প্রাণ গেল নদিয়ার তৃণমূল কর্মীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। অবশ্য খুনের পরই থানায় আত্মসমর্পণ করেছে অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার কল্যাণী থানা এলাকার গয়েশপুরের বাসিন্দা প্রদীপ শীল বুধবার সন্ধেয় গয়েশপুরে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন শ্যামল দেবনাথ ও বিশ্ব বৈদ্য। তিনজন বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ প্রদীপ ও শ্যামলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিশ্ব। সেই অশান্তি চরম আকার নেয়। এরপরই চায়ের দোকান থেকে চলে যায় বিশ্ব। কিছুক্ষণের মধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফের ওই দোকানে হাজির হয় সে। অভিযোগ, তখনই প্রদীপ ও শ্যামলকে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকে ওই যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন দু’জন।
আক্রান্তদের আর্তনাদ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় বিশ্ব। এলাকার বাসিন্দা তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় কল্যাণীর জওহরলাল মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানে প্রদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শ্যামলের চিকিৎসা চলছে। এদিকে খুনের কিছুক্ষণের মধ্যেই কল্যাণী থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে বিশ্ব। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছে চায়ের আড্ডায় কথা কাটাকাটির জেরেই এই নৃশংস ঘটনা।