হাতে আর খুব বেশিদিন বাকি নেই৷ আগামী বছরেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তাই ইতিমধ্যেই প্রচারের ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল। তবে শুধু রাজনৈতিক দলগুলিই যে নিজেদের ঘর গোছাচ্ছে, এমনটা নয়। ভোটের আগে পেশি প্রদর্শন করছে সেখানকার ‘বাহুবলী’রাও। ঠিক যেমন মুখতার আনসারি। পূর্বাঞ্চলে মারাত্মক প্রতিপত্তি তাঁর। এবার সেই মুখতারই শ্রীঘরে। কিন্তু তাতে কী! জেলের মধ্যে থেকেই নির্বাচনে লড়ার সমস্তরকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
মউ অঞ্চল থেকে এর আগেও ভোটে জিতেছেন মুখতার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবারেও অ্যাডভান্টেজ যে তাঁর দিকেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা গিয়েছে হয় সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির হয়ে ভোটে লড়বেন তিনি৷ নাহলে একেবারে নির্দল হয়েই নেমে পড়বেন ময়দানে। রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে নেই তাঁর ভাই সিগবাতুল্লাহ আনসারিও। কিছুদিন আগেই তিনি বহুজন সমাজবাদী পার্টি থেকে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে এসেছেন। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ মনে করছেন যে, আনসারি পরিবারের বাহুবলী প্রতিচ্ছবির জন্যই সিগবাতুল্লাহকে ভোটের টিকিট দেবেন না অখিলেশ। মুখতারের আরেক ভাই আফজল আনসারি আবার গাজিপুরের বিএসপি সাংসদ।
‘বাহুবলী’দের মধ্যে দ্বিতীয় নাম অবশ্যই আতিক আহমেদ৷ এলাহাবাদ (অধুনা প্রয়াগরাজ) ও পার্শ্ববর্তী জেলায় একদা সীমাহীন দাপট ছিল আতিকের। এবারের নির্বাচনে তিনি লড়বেন কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অনেকেই মনে করছেন, তাঁর বদলে স্ত্রী শাইস্তা পরভীন লড়তে পারেন নির্বাচনে। কিছুদিন আগেই শাইস্তা আসাদুদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম-এ যোগ দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ প্রয়াগরাজ থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে৷ এই আসনেই পাঁচবারের বিধায়ক ছিলেন আতিক। জৌনপুরের ধনঞ্জয় সিংয়ের কথাও বলতে হয়। জৌনপুরের মালহানি থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন তিনি৷ তবে শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই তিনি কিনা মানুষের মাঝে প্রচার করবেন। সূত্রের খবর, বিজেপির জোটসঙ্গী আপনা দল কিংবা নিষাদের টিকিটে দাঁড়াতে পারেন ধনঞ্জয়।