আমার পরের লক্ষ্য শিল্প’, ইনফোকম-এর ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সংস্থার আমন্ত্রণে মুম্বই গিয়েছেন মমতা। জাতীয় স্তরের শিল্পপতিরা যাতে বাংলায় বিনিয়োগ করেন, তারই আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, শিল্পের নয়া ডেস্টিনেশন হতে পারে বাংলা। বিদ্যুতের কোনও সমস্যা নেই বাংলায়। একাধিক আইটি সংস্থা আছে। ভারতের নতুন আইটি ডেস্টিনেশন রয়েছে সেখানে। বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা হতে পারে এটি।’
তাঁর সংযোজন, ‘এই মুহূর্তে ক্ষুদ্র শিল্পে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলা। সিলিকন ভ্যালি, আইটি পার্ক হার্ডওয়্যার পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানেই হাজার হাজার মানুষ কাজ পাচ্ছে। এছাড়াও দেউচা পাচামিতে ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। জঙ্গলমহল রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি সমস্ত বিনিয়োগকারীদের বলব, বাংলায় আসুন। এছাড়াও বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বাংলার। নর্থ-ইস্ট, ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার গেটওয়ে হতে পারে বাংলা।’
মমতার কথায়, ‘এই মুহূর্তে বাংলার মানুষ বিনামূল্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রেশন পাচ্ছে। এই মুহূর্তে শিল্পের দিকে জোর দিতে চাইছি আমরা। আমার লক্ষ্য শিল্প। বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ চাইছি।’
এদিন সকালে মুম্বইয়ের বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতার সাফ জবাব, ‘এবারের লড়াইটা কেবল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নয়। এটা গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই। সময় আসলে এমনিতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, কে বসবেন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে।’ মজার ছলেই প্রশ্নকর্তাকে মমতা পরামর্শ দেন, ‘আপনি চাইলে আপনিও বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে।’ এদিন উদাহরণ স্বরূপ ব্রাত্য বসুর প্রসঙ্গ টানেন মমতা। বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু একজন জনপ্রিয় থিয়েটার আর্টিস্ট। তারপরও তিনি রাজনীতির ময়দানে স্বচ্ছন্দ।’