বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে দলে তারকারা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। বেশিরভাগই রাজনীতিতে আনকোড়া হয়েও নির্বাচনে লড়ার টিকিটও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফল বেরোলে দেখা গেল হিরণ বাদে সকলেই হেরেছেন। সবশেষে দলে যোগ দিয়েছিলেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। দল ছাড়লেনও সবার প্রথমে।
জুলাই মাসেই মোহভঙ্গ হয়েছে তাঁর। বিজেপি ছেড়ে আপাতত অভিনয়ে মন দিয়েছেন তনুশ্রী। চুটিয়ে করছেন সিনেমা। একসঙ্গে একগুচ্ছ ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর। শুটিং শুরু হবে আরো কতগুলির। রাজনীতিকে কি একেবারেই বিদায় জানালেন তনুশ্রী নাকি অন্য দলে যোগদানের ইচ্ছা রয়েছে তাঁর?
সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তনুশ্রী জানালেন, দুটো কাজেই যখন সমান ভাবে পারদর্শী হয়ে উঠবেন শুধু মাত্র তখনি দুটো কাজ একসঙ্গে করবেন তিনি। রাজনীতি তাঁর শেখা বাকি রয়েছে এখনো। সেটা শিখে তবেই ফের রাজনীতির আঙিনায় নামবেন। আপাতত ছবিতেই মনোযোগ দিতে চান তনুশ্রী।
তাঁরই আরেক সতীর্থ (অভিনয় ও রাজনীতিরও বটে) শ্রাবন্তী সম্প্রতি তৃণমূলের দিকে হেলেছেন। সোমবার গোসাবায় জোড়াফুল শিবিরের একটি দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী। দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর গলায়। সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমি বাংলার মেয়ে। বাংলার জন্যই কাজ করতে চাই। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আমাকে আপন করে নিন। আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই’।
তনুশ্রীকেও কি ভবিষ্যতে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা যাবে? উত্তরে অভিনেত্রী বললেন, তিনি যা করবেন সবটাই জানিয়েই করবেন। গোপনে কিছুই করবেন না। তবে আপাতত অভিনয়েই মন দিচ্ছেন তনুশ্রী। হাতে অনেকগুলি ছবি রয়েছে তাঁর। ‘অন্তর্ধান’ মুক্তি পাচ্ছে সদ্য। এছাড়া রয়েছে টনিক, আবার বছর ২০ পরে’, ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘রাবণ’ এর মতো ছবি।