মুম্বইয়ে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে সকল ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় লগ্নি টানতে মঙ্গলবার রাতেই বানিজ্যনগরীতে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজ বুধবার নির্ধারিত সূচি মেনেই বিশিষ্ট জনদের সঙ্গে দেখা করলেন মমতা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাভেদ আখতার, সুধীর কুলকর্নি, মেধা পাটেকর, স্বরা ভাস্করের মতো একাধিক সেলেব্রিটি।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল। খেলা হয়েছে। ‘বাংলার মেয়ের’ উপর ভরশা রেখেছে রাজ্যের মানুষ। বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের স্বপ্ন পর্যদস্তু হয়েছে। বুধবার জাভেদ আখতার, পবন বর্মা, মহেশ ভাট, মেধা পাটেকর, স্বরা ভাস্কর, আদিতি মিত্তল, রিচা চাড্ডাদের মাঝে বসেও তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে শোনা গেল সেই খেলা হবে ‘স্লোগান’।
বাণিজ্য নগরীর এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়, ‘কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?’ এই প্রশ্নের জবাবে অকপট বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লড়াইটা কেবল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নয়। এটা গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই। সময় আসলে এমনিতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, কে বসবেন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে।’
এরপরই নিজের লক্ষ্য পরিষ্কার করে দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে চরম দক্ষিণপন্থী দল দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। তাই তাদের ক্ষমতাচ্যুত করাই প্রধান লক্ষ্য। এজন্য দেশের সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে’। এ প্রসঙ্গে বাংলার উদাহরণ টেনে আনেন মমতা। তিনি জানান, ‘বাংলায় ধর্মের বিভাজন হয় না। বাংলায় সব ধর্ম সমান সমান।’ প্রত্যয়ী কণ্ঠে বলেন, ‘বিজেপিকে বোল্ড আউট করতে পারি আমরাই’।
ইউএপিএ আইন নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। সাফ জানিয়ে দেন, ‘ইউএপিএ-র অপব্যবহার হচ্ছে। এই আইন নাগরিক সমাজের জন্য নয়’। তাঁর কথায়, ‘পেশীশক্তি দিয়ে দেশ চালানো যায় না। অগণতান্ত্রিক ভাবে দেশ চালানো যায় না। বিজেপি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না’।