একুশের ভোটে ভরাডুবির পর প্রকাশ্যে এসে পড়েছিল
বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। এবার পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দিনই ফের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু অন্তর্কলহ। কিছু দিন আগে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা দাস বিশ্বাস। তাঁর স্বামী গৌরব বিশ্বাসকে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির অনেক নেতা-কর্মীই। গৌরবও সেখানে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দল সেখানে অন্য এক জনকে প্রার্থী করায় মঙ্গলবার নির্দল প্রার্থী হিসাবে পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গৌরব।
গৌরবের বক্তব্য, তিনি ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মী হিসাবে জনসেবা করার জন্য কর্পোরেট সংস্থার চাকরি ছেড়েছেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী তিস্তা সেখানে বিজেপির সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। তিস্তা মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি বিজেপির প্রার্থী হলে দলই লাভবান হত। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পুত্র সৌরভ বসু। গৌরবের অভিযোগ, ‘তৃণমূল প্রার্থী ওই মন্ত্রী-পুত্রকে জেতানোর জন্য আমাদের দলের কেউ কেউ সক্রিয়। তাই আমার বদলে অন্য এক জনকে প্রার্থী করা হয়েছে।’
বিজেপি সূত্রের খবর, ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নিয়েও দলের অন্দরে ক্ষোভ আছে। ওই ওয়ার্ডটি এ বার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় সেখানকার বিদায়ী বিজেপি কাউন্সিলর সুব্রত ঘোষ টিকিট পাননি। তিনি যাঁকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন, তাঁকেও দল টিকিট দেয়নি। ফলে সুব্রতর অসন্তোষ রয়েছে। এছাড়া, সোমবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই দু’জন টিকিট না পেয়ে এবং এক জন পছন্দের ওয়ার্ড না পেয়ে দলের রাজ্য দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁদের এক জন চন্দ্রশেখর বাসোটিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। চন্দ্রশেখর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির টিকিট প্রত্যাশী ছিলেন।