সপরিবারে পুরী গিয়েছিলেন বেড়াতে, কিন্তু সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অলোক রায়ের। পুরীর হোটেল থেকে সোমবার তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সকলের সঙ্গে পুরী গিয়েছিলেন। ফলে সারাদিন সকলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন।
কিন্তু বিকেলে পরিবারের সকলে বেরোলেও তিনি হোটেলেই ছিলেন। এরপরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। বাড়ির সকলে হোটেলে ফিরে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় চিকিৎসককে। তিনি এসে মৃত ঘোষণা করেন। পুরীর সোনা ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে সপরিবারে ছিলেন ওই পুলিশ কর্তা।
ততক্ষণে সব শেষ। তবে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি পরিবারের তরফে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সম্ভবত শারীরিক অসুস্থতাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অথবা আচমকা হার্ট অ্যাটাক হয়, যার জেরে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আজই অলোক রায়ের নিথর দেহ কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হবে।
মৃত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অলোক রায় ১৯৮৬ সালের ব্যাচ। ইতিমধ্যেই পুরী পুলিশের আধিকারিকরা এসিপি অলোক রায়ের দেহ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন। যোগাযোগ করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে। কলকাতা পুলিশের একটা দল রওনা হয়েছে পুরীর উদ্দেশ্যে। আজ মঙ্গলবার সমস্ত নিয়ম মেনে দেহ ময়না তদন্ত করা হবে। তারপরেই স্পষ্ট হবে কী থেকে মৃত্যু হয়েছে পুলিশ কর্তার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাড়ির সকলে সন্ধ্যার দিকে সি-বিচে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে হোটেলের ঘরেই ছিলেন অলোক রায়। পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় চিকিৎসককে। কিন্তু শেষরক্ষা করা সম্ভব হয়নি।