বাদল অধিবেশনে হট্টগোলের জেরে শীতকালীন অধিবেশনে ১২ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানান বিরোধীরা। কিন্তু তা খারিজ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। প্রতিবাদে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা।
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই ১২ সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানান বিরোধীরা। কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছিল বাদল অধিবেশনে, সেই ঘটনায় কীভাবে শীতকালীন অধিবেশন পদক্ষেপ নেওয়া হল! পাল্টা তোপ দেগে চেয়ারম্যান নায়ডু বলেন, ‘আমাকে নিয়ম শেখাতে আসবেন না।গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও মনে আছে আমাদের। আশা করেছিলাম সংসদীয় নেতারা সেই বিষয়ে নিন্দা করবেন। কিন্তু তা হয়নি, তাই হাউজ তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই পারে’।
এরপরই বেঙ্কাইয়া নায়ডু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সংসদ সদস্যরা দুঃখ প্রকাশ করেননি। আমি বিরোধীদলীয় নেতার (কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে) আবেদন বিবেচনা করছি না। সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে না।’ যদিও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বক্তব্য মানতে চাননি বিরোধীরা। তাঁরা ১২ সাংসদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন এদিন।
প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষদিন পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। সরকারপক্ষ তখন থেকেই এই সাংসদদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই অভিযুক্ত ১২ সাংসদের শাস্তির দাবিতে প্রস্তাব আনে সরকার পক্ষ। সেই দাবি মেনেই ১২ জন সাংসদকে গোটা শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।