ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে অনেক দিন ধরেই ভাবনা-চিন্তা করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। চলতি বছরের শেষে ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন করার কথা আগেই জানিয়েছিল আরবিআই। গত অক্টোবরে আরবিআই সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি)-র প্রস্তাব আনে।
সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে একটি প্রস্তাব এসেছে। ডিজিটাল মুদ্রাকে ব্যাঙ্ক নোটের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে অতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘দ্য সিডনি ডায়লগ’এ ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বিবর্তন সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক দেশকে একযোগে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কাজ করতে হবে, যাতে এটি ভুল কারও হাতে না পড়ে।
এই মুহূর্তে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সচেতনতাও বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে বিনিয়োগও। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আগেই সতর্ক করেন সকলকে। তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশ যেন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে একযোগে কাজ করে। ভুল হাতে পড়ে আমাদের যুব সম্প্রদায়কে যাতে বিপথে চালিত না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা এমন একটি সময়ে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে পরিবর্তন আসছে, প্রযুক্তি এবং তথ্য নতুন হাতিয়ার হয়ে উঠছে। এ ক্ষেত্রে সতর্ক তো থাকতেই হবে।”
ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা হল ফিয়াট মানির ডিজিটাল সংস্করণ। যে টাকার বাস্তবে অস্তিত্ব নেই, আদতে ব্যবহার যায় না অথচ মূল্য আছে, আর সেই মূল্যের ওপর নির্ভর করে মানুষ লেনদেন করে, তাকেই ফিয়াট মানি বলা হয়।
সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি লিখিত জবাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই প্রস্তাবের কথা জানানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, সিবিডিসি চালু হলে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। মানুষের নগদ টাকার ওপর নির্ভরতা কমবে।
লেনদেনের খরচ কমবে, কমবে আর্থিক ক্ষেত্রে ঝুঁকিও। অর্থ মন্ত্রকের দাবি, ওই ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রার মাধ্যমে কোনও ক্ষেত্রে অর্থ প্রদান আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে। তবে সেই সঙ্গেও এও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু ঝুঁকির সম্ভাবনাও আছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে।