মাত্র তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল আদালত। এই ঘটনার দ্রুতগতির তদন্তে দুরন্ত ভূমিকা পালন করে প্রশংসা আদায় করে নিল কলকাতা পুলিশ।
ঘটনাটি এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে কলকাতা পুলিশ নিজেই। জানিয়েছে, এ বছরের ২৭ জুলাইয়ের বেনিয়াপুকুর থানায় ফোন করে বছর পনেরোর এক কিশোরী। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় সে জানায়, ২০১৮ সাল থেকে ক্রমাগত যৌন নির্যাতনের শিকার সে। নির্যাতনকারী তারই সৎ বাবা পূর্ণবাহাদুর জিরেল।
অভিযোগ পাওয়ার পরে সেই দিনই বেনিয়াপুকুর এলাকায় কিশোরীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় পূর্ণবাহাদুরকে। ৩৯ বছরের এই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ।
অতি দ্রুত তদন্ত শেষ করে শিয়ালদহ ফৌজদারী আদালতে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। গুরুত্ব দিয়ে মামলা শুরু হয়, ২৬ নভেম্বর শেষ হয় বিচারপর্ব। অপরাধী সাব্যস্ত হয় পূর্ণবাহাদুর।
অপরাধীর ৪০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করেছেন বিচারক। জরিমানা আদায় না হলে কারাবাসের মেয়াদ বাড়বে আরও এক বছর। সেই সঙ্গে ওই কিশোরীকে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করেছেন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার, সাব-ইন্সপেক্টর অনিমা বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে সহযোগিতায় ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর রামকৃষ্ণ দাস।
দিনের পর দিন শুনানি পিছিয়ে যাওয়া, সাজা ঘোষণায় একের পর এক তারিখ দেওয়া, অপরাধীদের বিনাবিচারে ঘুরে বেড়ানো– এসব খবর যখন বারবার সামনে আসে, তখন যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কলকাতা পুলিশ ও আদালতের এই যৌথ উদ্যম, দ্রুত সুবিচারের ঘটনা যেন নজির গড়ল প্রশাসনের খাতায়।