সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে সংসদ ভবনের ঐতিহ্য নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও সোমবার বিরোধীদের প্রতিবাদ স্লোগান, হই-হট্টগোলে দুপুর ১২টা অবধি মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। সংসদ ভবনের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূল সাংসদরা। বিরোধীদের অভিযোগ, কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কোনওরকম আলোচনা চায় না মোদী সরকার। এরপর তৃণমূল ও কংগ্রেসের অনুপস্থিতিতেই ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।
শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল-সহ একাধিক বিল পেশ করার কথাই ছিল কেন্দ্রের তরফে। লোকসভায় বিলটি পাশ হওয়ার পর রাজ্যসভায় পেশ করতে চাইছিল কেন্দ্র। শুক্রবারই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলের নমুনা রাজ্যসভার সমস্ত সদস্যকে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও এদিন ক্রিপ্টো কারেন্সি, এসসি-এসটি সংশোধনী বিল পেশ করবে কেন্দ্র। সেই মতোই বেলা ১২টার পর কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১ পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। এবং ধ্বনিভোটে তা সঙ্গে সঙ্গেই পাশ হয়ে যায়। বিরোধীরা কৃষি আইনের উপর আলোচনার দাবি করেছিল, তা খারিজ করে দেয় সরকার পক্ষ।বিরোধীদের অভিযোগ, আলোচনায় রাজি ছিল না সরকার পক্ষ। তারা দ্রুত বিল পাশ করাতে তৎপর ছিল। এরপর বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিরোধীরা। পরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা।
সোমবারের সংসদ ভবনে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘তর্কবিতর্ক, প্রশ্নোত্তর চলুক সংসদে। তবে তাতে যেন কখনও সংসদ ভবনের ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ না হয়, চেয়ার অমর্যাদা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা সকলের কর্তব্য’। এদিন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে খণ্ডন করেছে বিরোধীরা। তাদের কথায়, প্রধানমন্ত্রী যে কোনও বিষয়েই আলোচনা থেকে পালিয়ে যান। এরপরেই কৃষক পরিস্থিতি, পেগাসাস-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন তুলে অধিবেশন কক্ষে হই-হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। তখনই বেলা বারোটা পর্যন্ত সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।