এবারের দিল্লী সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই নতুন করে তৃণমূল ও কংগ্রেসের দূরত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী তৃণমূলের নাম না করে কটাক্ষ করেছিলেন, ‘কোনও কোনও বিরোধী দল এমনও আছে, প্রকাশ্যে হয়তো তারা বিরোধী, কিন্তু আসলে তারা সরকার পক্ষের সঙ্গেই রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হলে তারা সরে দাঁড়ায়। কিন্তু কংগ্রেস এমন করে না।’ এবার তারই পালটা হিসাবে নাম না করে অধীর তথা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটে লিখলেন, ‘সংসদে বিরোধী ঐক্য থাকবে। সাধারণ বিষয়গুলো বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করবে।’ তবে অন্য বিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূলের যে পার্থক্য রয়েছে, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সোমবার বিরোধী দলগুলো নিয়ে বৈঠক ডাকেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে। ওই বৈঠকে যোগ দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। ডেরেক বলেন, ‘একটা বিষয় উল্লেখ করতে হবে যে আরজেডি, ডিএমকে, সিপিআই এবং সিপিএম— এরা সকলেই কংগ্রেসের নির্বাচনী সহযোগী। এনসিপি-শিবসেনা এবং ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার চালায়। কিন্তু তারা আমাদের নির্বাচনী সহযোগী নয় এবং আমরা তাদের সঙ্গে সরকারও চালাই না। এটাই হল পার্থক্য।’ অর্থাৎ পরোক্ষে এটাই যেন বুঝিয়ে দেওয়া যে, কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে তৃণমূলকে যোগ দিতে হবে এমন কোনও বাধ্যতা নেই। কারণ, কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের কোনও ‘দেওয়া-নেওয়ার’ রাজনীতি নেই।