তিন মাসের মধ্যেই বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করল তৃণমূল। প্রথমবার ভিন রাজ্যের পুরনির্বাচনে লড়াই করে একটি আসন দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে একাধিক আসনে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। তৃণমূলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এক টুইটে আগামীদিনে বিজেপির বিরুদ্ধে জোর লড়াই বার্তা দিলেন অভিষেক। তিনি লেখেন, “পুরভোটে সফলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে তৃণমূল, যা কোনও দলের জন্য ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত। এটি সত্যি যে আমরা মাত্র ৩ মাস আগে আমাদের কার্যকলাপ শুরু করেছিলাম এবং বিজেপি ত্রিপুরার গণতন্ত্রকে কসাইখানায় পরিণত করতে কোনও ত্রুটি রাখিনি। তৃণমূলের সকল বীর সৈনিককে তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাহসের জন্য অভিনন্দন। সবে তো শুরু এবার আসল খেলা হবে।”
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী আগরতলার ৫১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। বাকিগুলিতে বিজেপিকে লড়াই দিয়েছে সিপিএম। আমবাসায় একটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে তৃণমূল। একটি ওয়ার্ড পেয়েছে বামেরা ও একটি আসন পেয়েছে টিপ্রা মোথা। তবে এখানকার সমস্ত ওয়ার্ডেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। তবে তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের সবক’টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। এমনকী, বিলোনিয়ার একটি ওয়ার্ডেও দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যান্য ৭টি পুর পরিষদে প্রার্থীই দেয়নি তৃণমূল। উল্লেখ্য, গত মে মাসের পরই ত্রিপুরা সংগঠন মজবুত করতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। এত অল্প সময়ের মধ্যে সে রাজ্যে সংগঠন গড়েছে তারা। স্টিয়ারিং কমিটিও গড়ে প্রচারের ঝড় তুলেছিল তারা। একাধিকবার বাধার মুখে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। গ্রেপ্তার হয়েছেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। তবু লড়াইয়ের মাটি ছাড়েনি ঘাসফুল শিবির। আর ভোটবাক্সে তারই সুফল পেল তারা।