আগামী ডিসেম্বরেই মু্ম্বই যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে একাধিক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। পাশাপাশি, বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়তে শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল নেত্রী। এই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী হতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক বৈঠক সারবেন তিনিও।বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। তার পর থেকেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেদের মাটি শক্ত করতে ঝাঁপিয়েছে ঘাসফুল শিবির। বাংলার বাইরে দলের সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাইরে তৃণমূল নেত্রীর সফর মানেই নতুন কিছু প্রাপ্তি।
প্রসঙ্গত, এবারের দিল্লী সফরেও একের পর এক সর্বভারতীয় স্তরের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এবারের দিল্লী সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আরও শক্ত করতে যোগ দিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ, হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অশোক তানওয়ার এবং প্রাক্তন জেডিইউ সাংসদ পবন বর্মা। মুম্বই সফরেও কংগ্রেসের ঘর ভাঙার আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক মহল। শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধানসভায় বিরাট জয়ের পরই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী, ২১ জুলাইয়ের দিল্লিতে তৃণমূল নেত্রীর ভারচুয়াল সভায় হাজির ছিলেন খোদ শরদ পওয়ার। এমনকী. শিব সেনার প্রতিনিধিও ছিলেন সেই সভায়।
উল্লেখ্য, পওয়ারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক সেরেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। আর পিকে-র সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। ফলে মুম্বই সফর যে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তৃণমূল নেত্রীর মুম্বই সফরে থাকছেন অভিষেকও। বৈঠক সারবেন মহারাষ্ট্রের জোটের অন্যতম মুখ শরদ পওয়ারের সঙ্গে। মনে করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের আগে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ সারা হবে। দেখা করবেন বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও। বিরোধী জোট নিয়ে যে তাঁর সঙ্গেও আলোচনা হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেখানে কংগ্রেস কি নিয়ে আলোচনা হবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।