শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে কালীঘাটে বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নির্বাচনে যেন কোনও গন্ডগোল না হয়। মানুষের ভোটেই আস্থা রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আগরতলায় পুরভোটে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসক দল বিজেপির দিকে। তেমন পরিস্থিতি যাতে না হয় শুক্রবার দলকে সেই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বৈঠকে দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি যেভাবে পুরভোট করল, তাতে গোটা দেশে ওদের মুখ পুড়েছে। আমাদের এখানে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, দলকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ভোট লুঠ করে ভোটে জিততে চাই না, এটা যেন সবার মাথায় থাকে। নির্বাচনে কোনও গন্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না। মানুষের ভোটে আস্থা রাখতে হবে। নির্দেশ অমান্য হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, শুক্রবার প্রশাসনও কলকাতায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। কলকাতার পুরভোটের অন্যতম নির্বাচনী আধিকারিক হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। গতকাল আলিপুরের অফিসে, বৈঠকে পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন কলকাতা পুলিশের ৮ জন ডেপুটি কমিশনার। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত করেছে, আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ১৬টি বরো এলাকায় একজন করে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। এরা হবেন রাজ্য সরকারের একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের অফিসার। প্রতিদিন বিকেল ৪টের মধ্যে, তাঁরা কমিশনকে তাঁদের বরো এলাকায় নির্বাচনী কাজকর্ম এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন।