ফের রাতের শহরে অগ্নিকাণ্ড। উল্টোডাঙার আরিফ রোডে ডালের গুদামে বিধ্বংসী আগুন। রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুন লাগে বলে অনুমান স্থানীয়দের। দমকলের ১২ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কর্মীদের মারফত জানা গিয়েছে, রাতে কাজ চলাকালীন আচমকাই একটি বিস্ফোরণ হয়।
তারপর আগুন ধরে যায় গুদামে। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। প্রাথমিকভাবে কর্মীরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে লেলিহান শিখা গ্রাস করতে শুরু করে গোটা গুদামকে। কর্মীরা বেরিয়ে আসেন নিরাপদেই।
তারও আগে বেলেঘাটা এলাকার ৭ নম্বর কবি সুকান্ত সরণিতে একটি পুরনো কাঠের দোতলা বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়িতে দু-একজন বাস করতেন।স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় আশপাশের বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যান।
গত মাসেই ১৫১ শরৎ বোস রোডে একটি বহুতলে আগুন লাগে। , টেলারিং কারখানা ছিল ওই বহুতলে। বন্ধ ছিল। দোতলায় আগুন লাগে। ৩ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শহরের অগ্নিকাণ্ডে বড় বিপদের আশঙ্কা আজকাল থেকেই যায়। সেক্ষেত্রে আগে থেকে সতর্ক দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
চেতলা হাটের একটি বস্তিতে এদিন সকালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। একেবারে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি মুহূর্তে ভয়াবহ হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার সময় ঘরে তিনটি বাচ্চা ছিল। তাদের নাম রাঘব মিশ্র, মাধব মিশ্র ও সাক্ষী মিশ্র। ছয় থেকে দশ বছরের মধ্যে তিনজনের বয়স। এর মধ্যে সাক্ষী মিশ্রের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়। তাদের তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
প্রথমে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে পরিস্থিতি বুঝে যায় আরও ৬ টি ইঞ্জিন। দমকলের ১২ টি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কী থেকে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছেন দমকল আধিকারিকরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্পূর্ণ ভস্মীভূত গুদাম। পাশের আরেকটি গুদামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ খানিকটাই বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মহিষবাথান লালবাড়িতে বিধ্বংসী আগুন গত শনিবার। একটি ঘর থেকে প্রথমে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল। গত মাসেই নারকেলডাঙ্গা প্রধান রাস্তার ধারেই দোতলা বাড়িতে আগুন লাগে।