মঙ্গলবার দিল্লীতে যোগদান মেলা চলল তৃণমূলের। পবন বর্মা, কীর্তি আজাদের পর মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন অশোক তনওয়ার। হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অশোকের যোগদান সে রাজ্যে তৃণমূলের ঘাঁটি শক্ত করবে বলেই মনে করছে জোড়াফুল শিবির। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি হরিয়ানা যেতে চাই। অশোকজি আমায় যখন ডাকবেন তখনই যাব। হরিয়ানা আমার রাজ্য দেখে খুব দূরে নয়। তবে তার আগে আমাদের রাজ্যে আসবেন অশোকজি। এখন ওঁর গোটা পরিবারই আমাদের তৃণমূলের পরিবার।” হরিয়ানা নিয়ে মমতার এই ইঙ্গিতে সে রাজ্যই যে তৃণমূলের পরবর্তী ডেস্টিনেশন হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন জেডিইউ সাংসদ পবন বর্মা। মমতার উপস্থিতিতেই এদিনের যোগদান হয়। তৃণমূলে যোগদানের পর পবন বর্মা বলেন, “সাধারণ মানুষের স্বার্থে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার প্রয়োজন রয়েছে।” উল্লেখ্য, এদিন জাভেদ আখতারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মমতা। জাতীয় রাজনীতিতে একাধিক প্রথম সারির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃণমূলে যোগদান করায় ঘাসফুল শিবির আরও মজবুত হচ্ছে বলে মনে করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পাশাপাশি, ১৯৮৩-এর বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য এবং প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ কংগ্রেসের হাত ছেড়ে সামিল হলেন জোড়াফুল শিবিরে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই দিল্লীতে দলে যোগ দেন বিহার রাজনীতির বলিষ্ঠ নেতা কীর্তি আজাদ। এর সঙ্গে সঙ্গে নীতীশের রাজ্যেও ডালপালা মেলতে শুরু করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। দলে যোগ দিয়েই কীর্তি আজাদ জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে কাজের সুযোগে খুশি। দল যা দায়িত্ব দেবে সেটাই করব।”