রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন তৃণমূলের লুইজিনহো ফেলেইরো। প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী না দেওয়ায় বিনা বাধায় জয়লাভ করেন তিনি। সোমবার ছিল প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন পর্যন্ত আর কোনও প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন তৃণমূলের প্রার্থী। গোয়ার প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তাঁকে দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়। তার মধ্যেই অর্পিতা ঘোষ নিজের রাজ্যসভা আসনে ইস্তফা দেন। সেই আসনেই প্রার্থী নির্বাচন করে ফেলেইরোকে দিল্লী পাঠানো হবে বলে জানিয়ে দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রেক্ষিতে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রস্তুতি নিতে বলে দেন লুইজিনহোকে।
উল্লেখ্য, গোয়ায় বিজেপির সরকার। ত্রিপুরার পাশাপাশি সেখানেও লড়াইয়ে তৃণমূল। লুইজিনহোর সাংসদ নির্বাচনের জেরে দলে গোয়ার পরিস্থিতি দিল্লীতে জানানোর সুযোগ আরও বেশি করে পেয়ে গেল তৃণমূল। লুইজিনহো যদিও এদিনই তাঁর শংসাপত্র নিতে পারেননি। গোয়ায় দফায় দফায় গিয়ে সেখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। নাম করা একের পর এক খেলোয়াড় যেমন আছেন সেই তালিকায়, রয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী-সংগীত শিল্পীরা। সম্প্রতি তাঁদেরই মধ্যে বিখ্যাত গায়ক লাকি আলি ও প্রাক্তন সাঁতারু তথা অভিনেত্রী নাফিসা আলির সঙ্গে দেখা করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। গোয়া নিয়ে দলের পরিকল্পনার কথা জানান তাঁদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনিতেই ভীষণ পছন্দ করেন নাফিসার। তাঁরা ইতিমধ্যে দলে যোগও দিয়েছেন। এবার সে রাজ্যেই প্রাকত্ন কংগ্রেসকে রাজ্যসভায় পাঠালেন তৃণমূল নেত্রী। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে ভোট ফেব্রুয়ারি মাসে। পাঞ্জাব থেকে কোনও প্রতিনিধি রাজ্যসভায় পাঠানো যায় কিনা, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রয়োজনমতো পাঞ্জাবের ভূমিপুত্র কোনও নামজাদা ব্যক্তিকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে, এমনই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।