সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা এবং সভা আটকাতে বিভিন্ন নিয়ম জারি করছে বিপ্লব দেব সরকার। এর মধ্যেই এদিন দুপুর দুটোয় ওরিয়েন্ট চৌমোহনীতে পথসভা করলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতারা। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, বাংলার মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষ, কুণাল ঘোষ-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। ত্রিপুরায় পুরসভায় তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারে তৃণমূলের ইস্তেহার অনুযায়ী সব প্রতিশ্রুতি পালন হবে বলে আশ্বাস দেন সুস্মিতা। তিনি বলেন, ‘নবরত্ন’ প্রতিশ্রুতি পালন করবে তৃণমূল। আগরতলাকে স্মার্ট সিটি করার বিষয়ে বিজেপির প্রতিশ্রুতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সোমবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, “বিজেপির ২০১৮ সালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, মিসড কল দিয়ে চাকরি নিয়ে মিথ্যা কথা নয়, বাংলার মতো এই রাজ্য নির্বাচনী ইস্তেহার দেওয়া প্রতিশ্রুতি ক্ষমতায় এলে পালন করবে তৃণমূল।”
তিনি বলেন,
১) মহিলাদের জন্য বাস সার্ভিস দেওয়া হবে।
২) কর মুক্ত জল।
৩) জলের এটিএম হবে।
৪) গ্রাম-শহরের সীমান্তে যাঁরা থাকেন, তাঁদের কষ্ট করে পুরসভায় আসতে হবে না।
৫) ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া মুক্ত করা হবে।
৬) কর্পোরেশনে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের চাকরি হবে।
পাশাপাশি বিজেপিকে কটাক্ষ করে সুস্মিতা বলেন, ত্রিপুরার যুবসমাজকে বাইকবাহিনীর চাকরি দিয়েছে বিজেপি। ৫১ আসনের সব আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল জিতবে, বুঝেই সন্ত্রাস করছে গেরুয়াশিবির। “আমরা কোনও অবস্থাতেই ত্রিপুরার মাটি ছাড়ব না। বিজেপিকে হারাবই। কেউ ভোট দিতে বাধা দিলে জানিয়ে রাখি তোমাদের পার্টির গুণ্ডাদের থেকে ত্রিপুরার মানুষের সংখ্যা বেশি,” বলেন সুস্মিতা।