এবার ত্রিপুরায় যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের ঘটনার কড়া নিন্দা করল ত্রিপুরা সিপিএম। যে ভাবে সায়নীকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে তার নিন্দা করা হয়েছে। ত্রিপুরা সিপিএমের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুরভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে বিজেপির ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস তত বাড়ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার ২০টি পুরসভা ও নগর পঞ্চায়েতের ভোট।
শুধু সায়নীকে গ্রেফতারই নয়। সোমবার আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলও বাতিল করেছে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকার। কোভিডবিধির কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত খবর, সোমবার ত্রিপুরা যাবেন অভিষেক। দুপুরে তিনটের সময়ে তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন। তার আগে অন্য নেতারা আগরতলায় প্রতিবাদ সভা করবেন।
ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল সিপিএমের তরফে প্রবীণ নেতা পবিত্র কর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সভা করলে কোভিড বিধি লঙ্ঘিত হয় না। যত বিধি শুধু বামফ্রন্ট-সহ বিরোধীদের বেলায়। উল্লেখ্য, এর আগেও দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের ওপর হামলা ও মামলা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিল সিপিএম। আবার সিপিএমের রাজ্য দফতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর তৃণমূলের জয়া দত্তরা তা পরিদর্শনে গিয়ে সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।