বিরোধিতা যতই আসুক বিকেন্দ্রিকরণের পথ থেকে সরবে না কেন্দ্র। বাজেটে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল, তা অর্জন করতে একপ্রকার মরিয়া মোদী সরকার। সেই লক্ষ্যে এবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের রিয়েল এস্টেট সম্পত্তিও বিক্রি করতে চলেছে তারা। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপত্তি আসছে ওই দুই সংস্থার কর্মীদের তরফে।
কেন্দ্রের লগ্নি এবং সরকারি সম্পদ পরিচালনা দপ্তর জানিয়েছে, ৬ জায়গায় বিএসএনএল এবং এমটিএনএল সংস্থা দু’টির সম্পত্তি বিক্রির জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছে। এই সম্পত্তিগুলির ন্যূনতম দর ধরা হয়েছে ৯৭০ কোটি টাকা। সরকারি সূত্রের খবর, কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, চণ্ডীগড় ও ভাবনগরে বিএসএনএলের বেশ কিছু রিয়েল এস্টেট সম্পত্তির দরপত্র চাওয়া হয়েছে। সব সম্পত্তির ন্যূনতম মোট দর ধরা হয়েছে ৬৬০ কোটি টাকা। এমটিএনএলের ক্ষেত্রে তা ৩১০ কোটি। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক অফিস এবং ফ্ল্যাট। বিএসএনএল সূত্রের খবর, এই পর্যায়ে এই সম্পত্তিগুলি দেড় বছরের মধ্যে বেচে ফেলার লক্ষ্য রয়েছে তাঁদের। সব মিলিয়ে কেন্দ্র প্রায় ৯৭০ কোটি টাকা এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে তুলতে চাইছে।
স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের এই সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্তে চরম আপত্তি জানিয়েছেন সংস্থাগুলির কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থাগুলি যেখানে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিষেবার উন্নতি করছে। সেখানে কেন্দ্র বিএসএনএলের সম্পত্তি বেচে দিয়ে সংস্থাকে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন নামের একটি কর্মী সংগঠন।