মোদী যুগের শেষের শুরু৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়৷ আর এক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অবশ্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের জয় হিসেবেই দেখছেন৷ তার দাবি, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সময় বিক্ষোভ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
এ দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, সংশোধিত তিনটি কৃষি আইনই প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে সংসদে অধিবেশন শুরু হলেই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সরকার শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাড়ি ফিরে নেওয়ার জন্য অনুরোধও করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷
প্রথম থেকেই কৃষকদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস৷ দিল্লি সীমান্তে গিয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আসেন তৃণমূল সাংসদরা৷ তিন আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে যান কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত৷ ফলে কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি তৃণমূল৷
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের জয় বলে ব্যাখ্যা করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘কৃষকরা দিল্লির সীমান্তে নিরবিচ্ছিন্ন আন্দোলন করেছেন৷ রোদ, জল, ঠান্ডার মধ্যে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক কৃষক মারা গিয়েছেন৷ লখিমপুরে বিজেপি-র মন্ত্রীর ছেলে গাড়ি চাপা দিয়ে চারজন কৃষককে মেরেছে৷ হরিয়ানার কোনও গ্রামে মন্ত্রীদের ঢুকে সভা করতে দেয়নি কৃষকরা৷ অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার এবং নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের দাবির সামনে নত হয়েছেন৷ কৃষককরা আগে থেকেই বলেছিলেন, এই তিন আইন চালু হলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ব্যবস্থা বন্ধ হবে, পুঁজিপতি ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন৷ এই আইন প্রত্যাহারের ফলে কৃষকদের সেই আশঙ্কা দূর হল৷’