শ্রীনগরের হায়দরপোরায় জঙ্গীবিরোধী অভিযানকে ইতিমধ্যেই সাজানো পুলিশি সংঘর্ষ বলে দাবি উঠতে শুরু করেছে। বিতর্ক চরমে পৌঁছতেই অতিরিক্ত জেলাশাসককে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। এবার পুলিশি অভিযানে নিহত দুই ব্যক্তির দেহ কবর থেকে তুলে বাড়িতে ফেরানো হল শেষমেশ৷
গত সোমবার রাতে শ্রীনগরে পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যান চার জন। পুলিশের দাবি, মৃতরা ছিল জঙ্গী মডিউলের সদস্য। মৃতদের দেহগুলি বাড়িতে পৌঁছতেই সেদিন সংবাদমাধ্যম, স্থানীয় থেকে পুলিস-প্রশাসনের আধিকারিকদের ভিড় জমে যায় বাড়িতে৷ এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ দেখিয়ে তড়িঘড়ি ১০০ কিমি দূরে উত্তর কাশ্মীরের হান্দওয়ারায় আলতাফ ও মুদাসিরের দেহ কবর দিয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ৷
কিন্তু, মৃতের পরিবারগুলি দাবি করে, ভুয়ো সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তাদের ঘরের মানুষের। জঙ্গীদের সঙ্গে কোনও সংস্রব ছিল না আলতাফ বা মুদাসিরের। নিরাপত্তা বাহিনী ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে তাঁদের৷ কবর খুঁড়ে দেহগুলি তুলে তাদের হাতে দেওয়ারও দাবি জানায় মৃতদের পরিবারগুলি। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেও একই দাবি জানান কাশ্মীরিরা৷ চাপের মুখে পড়ে কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন৷ শেষমেশ কবর থেকে দেহ তুলে পরিবারে ফেরাতে বাধ্য হল পুলিশ৷