গুরুগ্রামের বেশ কিছু জায়গায় নামাজ পড়ার অনুমতি প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। ফলে আগামীকাল, শুক্রবারের জুম্মার নামাজ পড়া নিয়ে গোল বেঁধেছে নানা এলাকায়। কিন্তু সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলেন শিখরা। এলাকাবাসী মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা জানালেন, তাঁদের গুরুদ্বারে পড়া যাবে শুক্রবারের নামাজ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গুরু নানকের জন্মদিন। তাই প্রতিটি গুরুদ্বারেই তার উদযাপন হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কারও প্রার্থনায় বাধা পড়বে না বলেই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
মুসলিমরা নির্দিষ্ট জায়গায় প্রার্থনা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে অবশ্যই এখানে আসতে পারেন। গুরুদ্বারের দরজা সকলের জন্য খোলা। তবে কোভিড বিধি মেনে ছোট ছোট দলে এসে যেন মুসলিমরা প্রার্থনা করেন, সেই আবেদনও করেছেন তিনি।
গুরুগ্রামের জামিয়াত উলেমার প্রেসিডেন্ট মুফতি মহম্মদ সেলিম শিখদের এই আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গুরুগ্রামের ৩৭টি জায়গায় জুম্মার নামাজ পড়ার অনুমতি ছিল বরাবরই। কিন্তু নাগরিকদের একাংশ হঠাৎই আপত্তি তুলতে শুরু করেন এই নামাজ পড়া নিয়ে! শেষমেশ ৩৭টির মধ্যে ৮টি জায়গায় শুক্রবারের জুম্মা নামাজের অনুমোদন তুলে নেয় প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে শিখদের সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতিপূর্ণ আচরণ অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন সকলে। দিল্লীর সীমান্ত-লাগোয়া হরিয়ানায় পাঁচটি গুরুদ্বারের দায়িত্বে রয়েছে এক শিখ কমিটি। সেই কমিটিই প্রস্তাব দেয় গুরুদ্বার খুলে দেওয়ার।
এর পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গুরুগ্রামের সদর বাজার, সেক্টর ৩৯, সেক্টর ৪৬, মডেল টাউন ও জেকব পুরা— এই পাঁচ জায়গার গুরুদ্বারেই নামাজ পড়তে পারবেন ২০০০ মুসলিম।
গুরুগ্রামের শ্রী গুরু সিং সভার সভাপতি শেরদিল সিং সিধু এ বিষয়ে জানান, গুরুদ্বার শব্দের আসল অর্থ, গুরুর বাড়ি। এখানে সকলে আসতে পারেন। তাই সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকেই এখানে এসে প্রার্থনা করার জন্য স্বাগত।