২৪-এ দিল্লীর লড়াইয়ের আগে সংগঠনের পরিস্থিতি দেখে অশনি সংকেত পাচ্ছে আরএসএস। জিততে হলে দলের সংগঠনের আরও বিস্তার দরকার। শুধু ‘ভাড়া করা সৈনিক’ দিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনা যাবে না। এমনই মত উঠে এসেছে আরএসএস-এর অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায়৷
বিজেপি-র সংগঠনের চালিকাশক্তি আরএসএস। সে কারণে সংগঠনকে শক্তিশালী ও প্রসারিত করার লক্ষ্যে এখন থেকেই মাঠে নামছে সংঘ। গত অক্টোবরে কর্ণাটকে সংঘের অখিল ভারতীয় সভায় বাংলা-সহ ৫ রাজ্যের নির্বাচনী পর্যালোচনা হয়। সেখানেই উঠে আসে বিজেপির সংগঠনের কঙ্কালসার চেহারা।
বাংলা-সহ ৫ রাজ্যে নির্বাচনী লড়াই লড়তে ‘ভাড়াটে সৈনিকদের’ উপরে মাত্রারিক্ত ভরসা করা বিপর্যয়ের একটি অন্যতম কারণ বলে আরএসএস-এর পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। কাজের দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচনেও ভুল ছিল বলে সংঘের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৯-এ রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বাদ পেয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিলেন অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীরা। কিন্তু,কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাঁদের। ২০১৪-র আগে, সর্বভারতীয় সভাপতি থাকার সময় থেকেই রাজ্যে দলের সংগঠনকে বুথস্তর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন অমিত শাহ। কিন্তু, আজও সেই লক্ষ্যের থেকে বহুদূরে বিজেপি৷ অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই আবার বুথ স্তর থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ সংঘের।
