দু’দিন আগেই পর্যটন ও শিক্ষায় স্কচ গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তারপর রৌপ্য পদক পেয়েছিল বনদফতরও। এবার কোভিড ব্যবস্থাপনার সাফল্যে স্কচ গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেল বিধাননগর পুরনিগম।
কোভিড পর্বের শুরু থেকেই বিধাননগর পুরসভাকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হচ্ছিল। কারণ সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউন—সামগ্রিক ভাবে পুরনিগম এলাকায় হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের সংখ্যা কম নয়। পুরসভার কন্ট্রোল রুম খোলা, এলাকা স্যানিটাইজ করা, বাড়িতে বাড়িতে অষুধ-খাবার পৌঁছে দেওয়ার মতো কর্মসূচিকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চালিয়ে গিয়েছে কর্পোরেশন। বিধাননগর পুরনিগমের প্রশাসনিক প্রধান কৃষ্ণা চক্রবর্তীও মাঠে নেমে কোভিড মোকাবিলার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এদিন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘এই সম্মান নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। তবে এটা সম্ভব হয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ, প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য, ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর—সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসেই। স্কচ গোল্ড অ্যাওয়ার্ড আসলে পেয়েছে বিধাননগরবাসী। আমি এই সম্মান তাঁদের প্রতি উৎসর্গ করতে চাই’।
বিধাননগরের পুর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান আরও জানিয়েছেন, কত রকম প্রতিকূলতার মধ্যে শুরুর দিকে কোভিড মোকাবিলার কাজ করতে হয়েছে পুরসভার কর্মীদের। কোভিডে মৃতের দেহ বহন করতে গিয়ে পুরসভার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, চালক জখম হয়েছেন , তাও ভাইরাসের কবল থেকে মানুষকে সুরক্ষিত করার কাজ থেকে কেউ এক ইঞ্চিও সরে যায়নি। তিনি এও জানিয়েছেন, টিকাকরণেও উল্লেখযোগ্য জায়গায় রয়েছে বিধাননগর পুর এলাকা। এখনও পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। যা রাজ্যের গড়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে।