সম্প্রতি বাংলায় বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাম-কংগ্রেস। তবে তাঁদের সমর্থন নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে না তৃণমূল। মঙ্গলবার তৃণমূলের মহাসচিব তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা জানি তাঁরা সমর্থন জানিয়েছেন। তবে এটাও মনে রাখতে হবে বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সবার আগে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন।”
পার্থ জানিয়েছেন, “মনে রাখতে হবে প্রতিবাদ জানিয়ে ২৪শে অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। তারপর আমরা ২৩ দিন অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু তাতেও ফল না হাওয়া আমরা বিধানসভায় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছি।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “বাম-কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি এখন বিধানসভা নেই। গণতন্ত্রে এটি একটি পরিতাপের বিষয়। তবে তারা তাদের মতো করে প্রতিবাদ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু প্রথম প্রতিবাদ আমাদের মুখ্যমন্ত্রীই করেছিলেন।” প্রসঙ্গত বামফ্রন্ট ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তাঁদের অবস্থান জানিয়েছেন।
গত ১১ই অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বাংলা-সহ অসম ও পঞ্জাবে বিএসএফের সীমানা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। তৃণমূলের পক্ষে প্রাক্তন সাংসদকুণাল ঘোষ টুইট করে এর প্রতিবাদ জানান। তিনি লেখেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যেভাবে বিএসএফের কর্মক্ষেত্র সীমান্ত থেকে ১৫কিমির বদলে বাড়িয়ে ৫০কিমি করল, তা প্রতিবাদযোগ্য ৷ এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো৷ তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে ৷ যথাযথভাবে বক্তব্য জানানো হবে৷” পরে ২৪শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহেই পঞ্জাব সরকার কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছেন। মঙ্গলবার সেই একই প্রস্তাব পাশ হল বাংলার বিধানসভাতে।