কেন্দ্রের বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে আঘাত। এই মর্মেই আজ মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করবে রাজ্য সরকার। দ্বিতীয়ার্ধে সরকার পক্ষের তরফে এই প্রস্তাব নিয়ে বলার কথা উদয়ন গুহ, তাপস রায়, হুমায়ুন কবীর, রফিকুল ইসলাম মন্ডলদের। প্রস্তাব পাঠ করবেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বক্তা হিসাবে থাকতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব বিধানসভায় এই মর্মে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। যা সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারের বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে সোমবারেরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হলে তার প্রভাব কী হতে পারে সে বিষয়ে বলতে গিয়ে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আজও তো দেখলেন একটা ঘটনা ঘটল। আমাদের ভয়টা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে, রাজ্য পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে তা সামলাচ্ছে। সীমানা সামলানোর দায়িত্ব বিএসএফের। এখন এরকম কিছু হলে নিশ্চয়ই সমন্বয়ের অভাব ঘটবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিএসএফ অ্যাক্টে অনুমোদন নেই। ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যে বিজ্ঞপ্তি, যে চিঠি তা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করব’।