দীর্ঘদিন দাপটের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস করার পর দলের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুজিত ঘোষ। পূর্ব বর্ধমানের এই নেতা ২০১৪-১৫ সালেই তৃণমূল ত্যাগ করেছিলেন। তবে ২০২১ সালের ‘ট্রেন্ড’ বজায় রেখে তৃণমূলে ফিরে সুজিতের দাবি, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে সক্রিয় ছিলাম না আমি। তবে বিজেপিতে কোনও দিনই যোগ দিইনি। আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল।’
সুজিত ঘোষ ২০১৪-১৫ সালে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সাথে বিবাদের ফলে দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও হন সুজিত। তবে ‘ঘর ওয়াপসির’ পর সুজিত ঘোষের বক্তব্য, বিজেপির তরফে তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। তিনি সেভাবে বিজেপিতে সক্রিয় ছিলেন না বলেও দাবি সুজিত ঘোষের। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে আবার তৃণমূলে ফিরেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনশোর বেশি সমর্থক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন সুজিত ঘোষ। পাশাপাশি বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের এসসি-এসটি সেলের সম্পাদক তথা আইনজীবী কৈলাশ পাসোয়ান এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বেশ কয়েকজন আইনজীবী সহ শতাধিক কংগ্রেস কর্মী নিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি স্বপন দেবনাথ।