ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে আটক দুই মহিলা সাংবাদিক। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের আটক করেছে আসাম পুলিশ। আসামের নিলামবাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে ওই দুই সাংবাদিক আগেই ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিলেন।
সমৃদ্ধি সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা নামের ওই দুই সাংবাদিক গত দু’দিন ধরেই ত্রিপুরার ‘সাম্প্রদায়িক অশান্তি’ নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে আসছেন। ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাম্প্রদায়িক অশান্তির চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছিলেন। শনিবার স্বর্ণা ঝা নামের ওই মহিলা সাংবাদিক দাবি করেছিলেন, ত্রিপুরার পানিসাগর এলাকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা একটি মসজিদ ভেঙে দিয়েছেন।বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ভয় দেখানোরও অভিযোগ করেন তিনি। একইভাবে তাঁর সহকর্মী সমৃদ্ধি সাকুনিয়াও সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন।
তারপরই ওই দুই মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় একটি এফআইআর দায়ের করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক কর্মী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই দুই মহিলা সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং হানাহানিতে উসকানি দিচ্ছেন। তারপরই ত্রিপুরা পুলিশ ওই দুই মহিলা সাংবাদিককে নোটিস পাঠায়। এমনকী, রাতে হোটেলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করতে যায় পুলিশ। যদিও ওই দুই সাংবাদিক অভিযোগ করেন, তাঁদের হোটেলে জোর করে আটকে রেখেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। পরদিন সকালে হোটেল থেকে বেরনোর অনুমতি পান তাঁরা। কিন্তু আসাম যাওয়ার পথে ওই দুই সাংবাদিককে আটক করে আসাম পুলিশ।
সমৃদ্ধি সাকুনিয়া নামেরওই সাংবাদিকের অভিযোগ, ত্রিপুরায় হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতেই তাঁদের আটক করেছে আসাম পুলিশ। আপাতত ওই দুই সাংবাদিকের আটক হওয়া নিয়ে উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি। এমনকী এডিটর্স গিল্ডও তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।