বিএসএফ-এর ক্ষমতাবৃদ্ধির ইস্যুতে এবার এক জোড়া আপত্তি তুলে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাতের পথে হাঁটল নবান্ন। শুক্রবার কলকাতায় আসা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার সামনে রাজ্যের সীমান্ত সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তথ্যের একাধিক ভুল ধরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। তীব্র আপত্তি জানিয়ে অবিলম্বে সেই ভুল সংশোধনের দাবিও জানান রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় আমলারা। মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিধানসভায় বিশেষ প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী মঙ্গলবার এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রের এহেন একতরফা পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখতে পারেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা জোরদার করার লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই উদ্যোগে বিশেষ আপত্তি নেই রাজ্যের। তবে বৈঠকের শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের সীমান্ত সংক্রান্ত নানা তথ্য পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরা হলে সেই তথ্যে জায়গা এবং জেলার নাম সহ বাস্তবের সঙ্গে অমিল বেশ কিছু তথ্য ভুল বলে চেপে ধরেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। পাল্টা তথ্য হাজির করেন তাঁরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে এক প্রস্থ চাপান-উতোরও চলে। অবশেষে চাপের মুখে ভাল্লা ভুল তথ্য শুধরে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, বিএসএফ-এর ক্ষমতার এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে মাসখানেক আগে কেন্দ্র যে নোটিস জারি করেছে তার তীব্র বিরোধিতা করেছে বাংলা ও পাঞ্জাবের মতো অবিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের ওই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে পাঞ্জাবের কংগ্রেস শাসিত সরকার বিধানসভায় বিশেষ প্রস্তাব পাশ করেছে। এই আবহে ভাল্লাদের বৈঠকে প্রসঙ্গটি ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সে পথে কেউ যাননি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুকে যে সহজে ছেড়ে দেবেন না সেটা স্পষ্ট। কারণ, এবার রাজ্যের তরফে বিধানসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণের পথে এগচ্ছেন তিনি।