১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পায়নি। ওটা ছিল ভিক্ষা। প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছিল ২০১৪ সালে। বুধবার সন্ধ্যায় এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন কঙ্গনা রানাউত। যার পর ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনাকে একহাত নেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। বরুণ অভিযোগ করেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বলিদানকে অবজ্ঞা করেছেন বলিউড নায়িকা। এবার কঙ্গনার ওই মন্তব্যের কারণে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। নবাবের মন্তব্য, ‘সম্ভবত উনি (কঙ্গনা) আজকাল অতিরিক্ত মাদক নিচ্ছেন’!
এনসিপি নেতা আরও বলেন, ‘যেভাবে দেশের হাজার হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করেছেন কঙ্গনা, তাতে ওঁর কাছ থেকে পদ্ম পুরস্কার কেড়ে নেওয়া উচিত’। এরপরেই নবাব মালিক মন্তব্য করে বসেন, ‘সম্ভবত আজকাল অতিরিক্ত মাদক নিচ্ছেন’।
এদিকে কঙ্গনার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশকে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছে আম আদমি পার্টি। যেখানে নায়িকার বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়াও দেশের বহু রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। গতকাল কংগ্রেসের তরফেও কঙ্গনার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয়। নবাব মালিকের মতোই নায়িকার পদ্ম পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলেছে কংগ্রেসও। তবে গতকাল বেশি সরব হয়েছেন গান্ধী পরিবারের সদস্য তথা বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী।
বৃহস্পতিবার টুইটারে কঙ্গনার ভিডিওটি শেয়ার করেন বরুণ। লেখেন, ‘কখনও মহাত্মা গান্ধীর ত্যাগ ও তপস্য়াকে অপমান, কখনও ওঁর হত্যাকারীকে সম্মান। আর এবার শহীদ মঙ্গল পাণ্ডে থেকে শুরু করে রানি লক্ষ্মীবাঈ, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও আরও অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর বলিদানকে অবজ্ঞা। এটাকে পাগলামি বলব নাকি বিশ্বাসঘাতকতা’?