বিধানসভায় হাওড়া পুরনিগম থেকে বালিকে বিযুক্তিকরণের প্রস্তাব আনল সরকার। বিধানসভায় বালি নিয়ে আলোচনায় বালি ও কান্দির বিধায়ক রয়েছেন। রয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিরোধীরা এই আলোচনায় নেই। বক্তার তালিকায় শাসকদলের দুই বিধায়ক। বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় ও কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার আলোচনায় রয়েছেন।
কেন বালিকে যুক্ত করা হল, সে বিষয়ে এদিনের আলোচনায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন বিধায়ক। তাঁদের বক্তব্য, বালির মানুষের কিছু সমস্যা হচ্ছিল। বালির বাসিন্দাদের হাওড়া পৌর নিগমে গিয়ে কোনও কাজ করতে গেলে ৮ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে যেতে হত। বাস ধরে যেতে হত তাঁদের। ব্যস্ততার মাঝে সময় নষ্ট হত অনেকটাই। বালির মানুষের চাহিদা ছিল, ২০১৫-র সময়ে তাঁদের যে আলাদা পুরসভা ছিল, তা যেন তাঁরা ফিরে পান।
মুখ্যমন্ত্রী বালির মানুষদের সেই ইচ্ছাকে মান্যতা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি দুই বিধায়কের। পুরনিগম থেকে আবার পুরসভায় পরিণত হবে বালি। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টি সামলাচ্ছেন, ফলে আর্থিক অনুদানের ক্ষেত্রেও কোথাও কোনও সমস্যা হবে না। তেমন আশ্বস্ত করেছেন বিধায়ক।
তবে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে বালি পুরসভারও একই দিনে ভোট চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বালির প্রাক্তন কাউন্সিলররা। হাওড়ার পুরনিগম থেকে বালি পুরসভা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বালির ১৬ টি ওয়ার্ডে আপাতত ভোট হচ্ছে না বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে হাওড়ার মোট ৬৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টি ওয়ার্ডে ১৯ ডিসেম্বর পুর নির্বাচন হবে। বাকি ১৬ টি ওয়ার্ড নিয়ে আলাদা করে বালি পুরসভা গঠিত হবে। সেখানে কবে ভোট হবে তা পরে স্থির করা হবে।