শুক্রবার রাজ্যের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে হতে চলা ওই বৈঠকে রাজ্যের তরফে থাকবেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা-সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারির সীমানা বৃদ্ধি, সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলির সুরক্ষা এবং স্থলবন্দর নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা।
ইতিমধ্যেই এই বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য রাজ্যের জেলাশাসকদের জন্য পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নজরদারি টাওয়ার বসানোর জন্য বিএসএফ জমি চেয়েছে। সেই বিষয়টি কী অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়েও জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যসচিব। সীমান্তবর্তী জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন অজয় ভাল্লা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারির পরিসর বাড়ছে। ১৫ কিলোমিটারের বদলে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে প্রয়োজনে গ্রেপ্তারও করতে পারবে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল বিএসএফের আওতাধীন এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে।
এ নিয়ে রাজ্যের স্পষ্ট আপত্তি রয়েছে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বৈঠকে এই বিষয়টি উঠতে পারে বলে প্রশাসনক মহলের খবর। রাজ্যের ১০টি জেলায় প্রায় ২১ হাজার ৬৪ কিলোমিটারের বেশি যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে, সেখানে সীমান্ত পরিকাঠামো নিয়ে রাজ্যের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব।
আন্তর্জাতিক সীমান্তের বেশিরভাগটাই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে। এছাড়াও ভারত-নেপাল এবং ভারত-ভূটান সীমান্ত রয়েছে। বিএসএফের আওতাধীন এলাকা বাড়লে রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির প্রায় ৩৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা নজরদারির মধ্যে চলে আসবে। এই বিষয়টি নিয়েই রাজ্যের তীব্র আপত্তি।