একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। বুধবার গোকুলনগরের করপল্লীতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে তা আরেকবার স্মরণ করিয়ে, নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে হটানোর ডাক দিল তৃণমূল। গণনার সময় লোডশেডিংয়েই ফল ওলটপালট হয়েছে বলে দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। নন্দীগ্রামে এই পরাজয়ের পর স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী ভোটগণনা নিয়ে সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন। এরপর নন্দীগ্রামের ভোটগণনার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা আদালতের বিচারাধীন রয়েছে। এবার ফের নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুকে একা করে দেওয়ার ডাক দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে গোকুলনগরে স্মরণসভা করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। ২০০৭ সালে ১০ই নভেম্বরের শহীদদের স্মরণ করা হয় অনুষ্ঠানে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের করপল্লীতেই এরপর দুপুরে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “পুনর্গণনা হলে শুভেন্দু ২২ হাজার ভোটে হারবে। ওকে নন্দীগ্রাম থেকে উচ্ছেদ করে ছাড়ব।” পাশাপাশি শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে কুণাল বলেন, “তোমরা সমস্তটা ভোগ করছ। তারপর মায়ের পিঠে ছু মেরেছ। রিকাউন্টিং ঠেকাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুভেন্দু। তাঁকে ঘাড় ধরে এই মাটি থেকে তাড়াব। লোডশেডিং করে জেতা!” এদিনের শহীদ দিবসকে স্মরণ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল নেত্রী লিখেছেন, “নন্দীগ্রামের শহীদদের ভুলছি না ভুলবো না।”