মুম্বইয়ে প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার এবং শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতারির পর থেকেই বিজেপি এবং তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন নবাব মালিক। এবার রাজনৈতিক মোড় নিতে নিতে আরিয়ান মামলা মালিক বনাম দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে ‘যুদ্ধে’ পরিণত হয়েছে। পরস্পরের দিকে একের পর এক অভিযোগের তির ছুঁড়েই চলেছেন দুই নেতা। যা বুধবার আরও বড় আকারে প্রকাশ্যে এসেছে। বুধবার বিজেপি নেতা ফড়নবিশের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ আনলেন এনসিপি নেতা।
মঙ্গলবারই নবাব হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বুধবার তিনি ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটাতে চলেছেন। সেই কথা মতো এদিন ফড়নবিশের বিরুদ্ধে ফের অন্ধকার জগতের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ আনলেন তিনি। শুধু অভিযোগ আনাই নয়, দাউদ-ঘনিষ্ঠ রিয়াজ ভাট্টির সঙ্গে ফড়নবিশের যে ভাল যোগাযোগ ছিল সেই দাবিও করেন তিনি। মালিকের অভিযোগ, ফড়নবিশ যখন মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিলেন সে সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে এমন কিছু নিয়োগ করেছিলেন যাঁদের পাকিস্তানের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ ছিল। শুধু তাই নয়, এনসিবি-র আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে কাজে লাগিয়ে জাল টাকার চক্রকে নিরাপত্তা দিতেন ফড়নবিশ, এমন অভিযোগও করেন মালিক।
এনসিপি নেতা বলেন, ‘আমি প্রশ্ন করতে চাই রিয়াজ ভাট্টি কে? ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে ধরা পড়েছিল সে। দাউদের সঙ্গে ওর ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। দু’টি পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও রিয়াজকে ছেড়ে দিয়েছিল ফড়নবিশ সরকার।’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘রিয়াজকে কেন ফড়নবিশের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল?’ মালিকের অভিযোগ, ‘ফড়নবিশের মদতে মহারাষ্ট্রে জাল টাকার খেলা শুরু হয়েছিল। নোটবন্দি ঘোষণার পরই বিভিন্ন রাজ্যে জাল টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রেও ধরা পড়েছিল। কিন্তু চার বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও মামলা দায়ের হয়নি। ২০১৭-তে রাজস্ব দফতর অভিযান চালিয়ে ১৪ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা জাল টাকা উদ্ধার করেছিল। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ সেই মামলাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।’