ফের বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চার বিধায়কের শপথের ভার ডেপুটি স্পিকারের ওপর দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যদিও পরে সেই জট কেটেছে, শপথ গ্রহণ করিয়েছেন অধ্যক্ষই। এ দিন বিধানসভায় সেই ইস্যু সামনে এনে পরিষদীয় কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নাম না করে রাজ্যপালকে তোপ দাগলেন পরিষদীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বিধাসভার রীতি নিতি পুনরুদ্ধার করা গেছে বলে নিজের বক্তব্যে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচিত বিধায়কদের কাজকর্ম অধ্যক্ষের কাছে লিপিবদ্ধ আছে কিন্তু ক্রমাগত সেই কার্যপ্রণালীকে রাজ্যপাল ব্যাহত করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ দিন বিধানসভায় পার্থ বলেন, ‘মহতি এই সভা বরাবর অধ্যক্ষই পরিচালনা করেন। কিন্তু, যে ভাবে বারবার আক্রমণ আসছে, বিধানসভার কার্যক্রমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে, তাতে আমরা ব্যাথিত হয়েছি।’ পরবর্তীকালে বিধানসভার কাজে সহযোগিতা চান বলে উল্লেখ করেছেন পার্থ। তাঁর কথায়, ‘শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপে সত্যের জয় হয়েছে।’
রাজ্যপালের হাতে শপথ গ্রহণ করানোর ক্ষমতা থাকলেও সাধারণত, অধ্যক্ষকেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ভবানীপুরের বিধায়ক হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ পাঠ নিয়ে ঠিক যেমন নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নতুন চার বিধায়কের শপথগ্রহণের আগেও সেই একই ছবি দেখা যায়। ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পড়ানোর ভার দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
রাজভবনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। অধ্যক্ষ থাকতে কেন উপাধ্যক্ষ শপথ পাঠ করাবেন, তা আদৌ দৃষ্টিনন্দন কি না বিভিন্ন কথাই ওঠে। এই নিয়ে রাজভবন ও বিধানসভার পরিষদীয় দফতরের মধ্যে চিঠিচাপাটিও চলে। রাজ্যপালকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তারপরই বরফ গলে। সোমবার শেষবেলায় রাজভবন থেকে বার্তা আসে, চার বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন অধ্যক্ষই।