মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের অন্যতম বর্ষীয়ান ও গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েত দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রেরও কার্যকালের মেয়াদ সম্পূর্ণ। এখনও ফাঁকা রয়েছে দু’টি মন্ত্রী পদ। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে আগ্রহী রাজ্যের শাসক শিবির। আজ, মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই রদবদলে সিলমোহর পড়তে পারে। অন্যদিকে, উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রে বিরাট জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, দিনহাটা আসনে দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন তৃণমূলের উদয়ন গুহ। একুশের নির্বাচনে কোচবিহারে কোনও আসনেই জিততে পারেনি তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের এই গুরুত্বপূর্ণ জেলা খালি হাতেই ফেরায় শাসকদলকে। উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ছেড়ে আসন জিতে কোচবিহারে খাতা খুলেছে তৃণমূল। বিপুল ভোটে জয়ের পুরস্কার স্বরূপ উদয়নকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দফতর সামলাতেন তিনি। তাঁর প্রয়াণের পর গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্বে কে আসতে পারে? এই নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তবে, সূত্রের খবর, আপাতত পঞ্চায়েত দফতর নিজের হাতেই রাখতে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই সামলাবেন গ্রামোন্নয়নের কাজ। আবার গত দু’বার খড়দহ থেকে জয়ী অমিত মিত্রকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী পদ দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার আর ভোটে লড়েননি তিনি। তবুও তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের অর্থ দফতর সামলাতে তাঁর উপরই ভরসা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ। কারণ বিধায়ক না হয়ে ছ’মাসের বেশি মন্ত্রী পদে থাকা যায় না। সূত্রের খবর, আপাতত অর্থ দফতরও নিজের হাতেই রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে কোনও যোগ্য ব্যক্তিকে এই পদে বহাল করবেন। সূত্রের খবর, ফিরহাদ হাকিমকে পরিবহণ থেকে সরিয়ে ফের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিবহনের দায়িত্বে কাউকে আনা হতে পারে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রিমাকে আরও বড় দায়িত্বে আনা হতে পারে।