এই তো সেদিন দুর্গাপুজোর সময়েও মানুষটা ছিলেন। আর দীপাবলিতে দুম করে কেমন মানুষটা নেই হয়ে গেল! জীবনমৃত্যুর খেলায় অজানার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। চেয়ার আজ শূন্য। আর সেই শূন্য চেয়ারটাই বড় বেশি করে কষ্ট দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
প্রতিবারের মত এবারও বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। এবার অনুষ্ঠান হচ্ছে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে। সেখানেই আকস্মিক প্রয়াণে ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী প্রিয় ‘সুব্রতদাকে মিস’ করছেন বলে জানালেন।
এদিন বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে বিভিন্ন বিভাগে শারদ সম্মান প্রদান করা হয়। রাজ্য়ের মোট ৪৫০-এর উপর ক্লাবের হাতে এদিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সেখানেই বাগবাজার সার্বজনীন ও সমাজসেবীর হাতে সেরার সেরা পুরস্কার তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার আজকে সবচেয়ে খারাপ লাগছে, আমি আজকে খুব সুব্রতদাকে মিস করছি। হয়তো আজ এখানে অনেকেই উপস্থিত আছেন, কিন্তু যে মানুষটা সবসময় উপস্থিত থাকতেন…! যখনই খবর এসেছে, তখনই খালি মনে হয়েছে তাহলে এভারগ্রিন এবার কার হাতে যাবে? চিরকাল এভারগ্রিন মানুষটা…!”
এরপরই আরও স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, প্রতিবার পুজোর সময় ১৫ দিন আগে থেকে তাঁর সঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের প্রায় ঝগড়া বাঁধত। কিন্তু কী নিয়ে ঝগড়়া? সেকথাও আজ ভারাক্রান্ত মনে সবার সঙ্গে ভাগ নিলেন তৃণমূল নেত্রী। বললেন, “পুজোর পনেরদিন আগে থেকে আমার সঙ্গে ঝগড়া করত প্রায়।
কিরে কবে দিবি ডেট? তোকে কিন্তু স্তোত্রটা একবার বলতে হবে। আমি মাঝে মাঝে বলতাম, সুব্রতদা আপনি তো থিম করেন না। সুব্রতদা বলতেন, আমি থিম করি না রে, আমি সাবেকি পুজো করি। জন্মালে মরতে হবে, একথা ঠিক। তবে সুব্রতদার এখনও যাওয়ার সময় হয়নি। ভালো থাকতে থাকতে হঠাৎ করে চলে গেলেন। এই শোকটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।”