কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক জনবিরোধী নীতি। পাশাপাশি আরও কিছু দাবিকে কেন্দ্র করে জেলায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল। সেই প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর।পাশাপাশি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে প্রথমেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে স্মৃতিচারণ করেন হুমায়ুন কবীর। বলেন, ‘আলোর অনুষ্ঠান দীপাবলিতেই একটা অন্ধকার নেমে এসেছে আমাদার প্রত্যেকের মনে। হয়ত বঙ্গের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই বিষয় প্রযোজ্য নয়। কিন্তু যাঁরা তৃণমূল করেন সেই কোটি-কোটি মানুষের মনে অন্ধকার নেমে এসেছে যারা সুব্রতদাকে ভালোবাসতেন’।
এরপরই কেন্দ্রের একাধিক নীতির তীব্র বিরোধীতা করেন এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ২০২৪ এর দোরগোড়ায় এই আন্দোলনকে আমরা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে দেব। ক্রমাগত মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, ভাঁওতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই সরকার। সাংসদ ভবনে ষষ্টাঙ্গে প্রণাম করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন মিনিমাম গর্ভমেন্স। উনি বলেছিলেন আমাদের গর্ভমেন্স থাকবে মিনিমাম আর মানুষ ঠিক করবে যে কীভাবে দেশ চলবে। আজকে কয়েকটি দালাল পুঁজিপতিদের পাল্লায় পড়ে, তাঁদের হাত শক্ত করার জন্য, ব্যাঙ্কের আমানত দেশে-বিদেশে আরও বাড়াতে সাহায্য করছে। করোনাকালে যেখানে গরিব মানুষের হাতে রোজগার নেই, টাকা নেই সেখানে পুঁজিপতিদের রোজগার বাড়াতে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন আকাশচুম্বী এদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধেই আমাদের আজকের প্রতিবাদ আন্দোলন। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা দিল্লীতেও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করব।”