বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পরই বদল গিয়েছিল পরিস্থিতিটা। গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে পাড়ি জমাচ্ছেন একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থক। এবার বড়সড় ভাঙন দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে।
এদিন নানুরচকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন নেতা-কর্মী-সহ বিজেপির ৪৫০ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিজেপির এসটি মোর্চার সহ সভাপতি রামচন্দ্র টুড়ু, নারায়ণগড় মধ্য মণ্ডলের এসটি মোর্চার সভাপতি টিপু টুড়ু, ১৫ নম্বর শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ রামনাথ হাঁসদা, ৬ নম্বর শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ লক্ষ্মীকান্ত গিরির মতো নেতা। তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা। এদিন তৃণমূলে যোগদানকারী অধিকাংশই তপসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের।
তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নেতাদের দাবি, বিজেপিতে অন্তর্কলহ ছিল। আর বিজেপি করা যাচ্ছিল না। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে প্রমাণ হয়েছে দিদির বিকল্প কেউ নেই। তাই দিদির উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।
তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, ওখানে বিজেপিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছিল এই তপসিলি জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজন। তারা আজ তৃণমূলে। এখন এলাকার অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। খুব শীঘ্রই ওইসব নেতাদের নেতাদের অনুগামী যারা রয়েছেন তাদের তৃণমূলে যোগদান করার ব্যবস্থা করা হবে।