দীপাবলির আগের রাতে পেট্রেল ও ডিজেলের উপর থেকে লিটার প্রতি যথাক্রমে পাঁচ টাকা ও দশ টাকা উৎপাদন শুল্ক কমিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তার পরেই বিজেপিশাসিত নয়টি রাজ্যও এই দুই জ্বালানি তেলের উপর থেকে ভ্যাট অনেকটা কমানোর কথা ঘোষণা করে। বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র কটাক্ষ করল শিবসেনা।
দলের মুখপত্র সামনা-র বক্তব্য এক কথায়, ‘ঠেলার নাম বাবাজি’। বলা হয়েছে, কেন্দ্রের শাসক দল এই সিদ্ধান্তকে যতই দীপাবলির উপহার বলে চালানোর চেষ্টা করুক না কেন, এটা আসলে ভোটের বাক্সে জনতার হুঁশিয়ারির ফল। বিজেপির প্রচারের ঢোল ফুটো হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচনে।
ওই নির্বাচনেই দাদরা ও নগর হাভেনি লোকসভা আসনটি জিতেছে শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরের দল গুজরাতের লাগোয়া এই লোকসভা আসনে জয়ের পর দাবি করে, প্রমাণ হয়ে গেল নরেন্দ্র মোদীর মুখ ছাড়াও ভোটে জেতা যায়। এই বক্তব্য তুলে ধরে সামনা-ও জোরালো সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। এবার জ্বালানি তেলের দাম কমানো নিয়েও সরব হল তারা।
শুক্রবার পর্যন্ত বিজেপি এবং অ-বিজেপি দল শাসিত মিলিয়ে দেশের ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমিয়েছে। সেই তালিকায় মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সরকার নেই। দলীয় মুখপত্রে শিবসেনার বক্তব্য, বিজেপি অবিরাম ঢাক পেটাতে ব্যস্ত। কেন্দ্রীয় সরকার যদি সত্যিই মানুষের দুর্দশার কথা বিবেচনা করত তাহলে আরও আগেই কেন জ্বালানি তেলের দাম কমানো হল না? আসলে উপনির্বাচনের ফলাফলে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির হুঁস ফিরেছে। সরকারের যদি দীপাবলির উপহার দেওয়াই উদ্দেশ্য হবে তাহলে আরও আগেই কেনাকাটার সুযোগ দিতে জ্বালানির দাম কমানো হত।