বাংলার রাজনীতিতে অন্ধকার করে দিয়ে ইহলোক ছেড়ে পরলোকে গমন করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বাংলার রাজনীতির আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর চলে যাওয়াতে তৈরি হয়েছে শূন্যতা। কিন্তু জীবিতকালে সর্বদাই ছিলেন ব্যস্ত ও কর্মঠ মানুষ। সেই নিদর্শন ফের পাওয়া গিয়েছে একটি চিঠির ভিত্তিতে। গত সোমবার হাসপাতাল থেকেই কিছুটা সুস্থ হয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সুস্থ হয়ে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অধিবেশনে যোগ দেব, এই কথাই নিজের হাতে লিখে চিঠিতে জানিয়েছিলেন স্পিকারকে।
সেই চিঠি এখন প্রকাশ্যে। গত শুক্রবার কথা রেখেই বিধানসভায় গিয়েছেন। তবে জীবিত অবস্থায় নয়, সুব্রত’র মরদেহ গিয়েছে বিধানসভায়। হাসপাতালে থাকাকালীন স্পিকারকে চিঠিতে সুব্রত মুখোপাধ্যায় লেখেন, ‘হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য আমি এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়েছি। সুস্থ হয়ে যত দ্রুত সম্ভব আমি এ বারের অধিবেশনে যোগ দেব।’ প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের চিঠির প্রসঙ্গে স্পিকার কিছুটা আবেগে ভেসে জানিয়েছেন, ‘এত দিনের বিধায়ক, প্রবীণ মন্ত্রী। তবু তাঁর কাছে বিধানসভার যে কতটা গুরুত্ব ছিল, ওই চিঠিই তার প্রমাণ। ভেবেছিলাম, হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরে হয়ত অধিবেশনের শেষ দিকে দু-এক দিন থাকতে পারবেন। তা আর হল না।’
নিজের দফতরের কাজ ও বিধায়ক হিসেবে সদা কর্মে অবিচল ছিলেন সুবত মুখোপাধ্যায়। যা নিয়ে মাঝে মাঝে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হয়েছে ঝামেলা। সেই কথাই উল্লেখ করে বিমান বাবু জানিয়েছেন, ‘এই নতুন বিধানসভায় এক দিন তো খুব রাগারাগি করে গেলেন। বললেন, পঞ্চায়েত- গ্রামোন্নয়ন দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর। এত কম সময়ে এ সব নিয়ে আলোচনা হয়?’ বিধানসভায় ভিআইপি করিডোরে ২৪ নম্বর ঘরে তিনি থাকতেন। ঘর রয়েছে কিন্তু মানুষটি আর নেই এই আক্ষেপ স্পিকারের।