রোনার উপদ্রব কমেনি। ভাইরাল জ্বরও হানা দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। এর মধ্যেই জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশে। কানপুরে ইতিমধ্যেই ৩০ জন আক্রান্ত। গত কয়েকদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৭০ ছুঁতে চলেছে।
কানপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, গত ২৩ অক্টোবর প্রথম জিকা ভাইরাসের খোঁজ মেলে। ভারতীয় বায়ুসেনার এক অফিসার আক্রান্ত হয়েছিলেন। বায়ুসেনা ঘাঁটির আশপাশের এলাকায় মানুষজনের নমুনা পরীক্ষা করে প্রায় ৩০ জনের শরীরে এই ভাইরাসের হদিশ মেলে। আক্রান্তদের সংস্পর্শ থেকে সংক্রমণ আরও বহুজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সংক্রমিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। জীবাণুনাশের কাজ শুরু হয়েছে।
জিকা ভাইরাস মশার কামড় থেকে ছড়ায়। এডিস মশা কামড়ালে তার লালা থেকে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকে পড়ে। এই এডিস মশাই ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার জন্য দায়ী। গর্ভবতী মহিলার থেকে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তান এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে নবজাতক মাইক্রোসেফ্যালিতে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগে মাথা শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিক রকম ছোট আকারের হয়। চিকিৎসকরা বলছেন অসম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে শিশু। যৌনসম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।