মাদক মামলা নিয়ে তোলপাড় মহারাষ্ট্র। এনসিবি আধিকারিক সঞ্জীব ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠার পরই এনসিবির হাত থেকে ছয়টি মামলা স্থানান্তর করা হচ্ছে বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে। এই দলের দায়িত্বে আছেন সিনিয়র অফিসার সঞ্জয় সিং। সেই ছয় মামলার মধ্যে আছে যেমন আরিয়ান খানের মামলা, তেমনই আছে নবাব মালিকের জামাই সমীর খানের মামলাও।
সূত্রের খবর, মাদক কাণ্ডে সমীর খানের জামিনের বিরোধিতা করে এবার আদালতে যেতে পারে নতুন তদন্তকারী দল। মাদক কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে এনসিবি ও সমীর ওয়াংখেড়েকে নিশানা করে একের পর এক বোমা দেগেছেন নবাব মালিক। এবার সেই বিতর্কে যোগ দিতে চলেছে নয়া মাত্রা। সমীর খানের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে গেলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন বিতর্ক শুরু হবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, একটি মাদক মামলায় অভিযুক্তের সঙ্গে ২০ হাজার টাকার লেনদেনের সূত্র ধরে নবাব মালিকের জামাই সমীর খানকে তলব করে এনসিবি। গত জানুয়ারি মাসে এই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এনসিবি দাবি, ২০০ কেজি ড্রাগ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল সমীর খান। যদিও মালিকের দাবি, ওটা ‘হার্বাল টোব্যাকো’ ছিল। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
এই কেস শেষ হতে না হতেই লাইমলাইটে চলে আসে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের মাদক কাণ্ড। সেই নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় হয়ে যায়। লাগে রাজনীতির রঙও। নবাব মালিক সহ একাংশ মানুষ তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানোর অভিযোগ তোলেন। যদিও গত ২৬ অক্টোবর মাদক মামলায় আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট। তবে তারপরও বিতর্ক থামেনি।