মোদীর কেদারনাথ মন্দির থেকে দেওয়া ভাষণ শুনবেন মন্দিরের চাতালে বসে। সেই অনুযায়ী, শুক্রবার সাত সকালেই হরিয়ানার গুরুগ্রামের একটি মন্দিরে ঢুকে পড়েছিলেন বিজেপি নেতারা। ছিলেন হরিয়ানার প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ গ্রোভারও। কিন্তু তার পরেই বিপত্তি। প্রায় এক বছর ধরে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকরা মন্দিরের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।
কেদারনাথ মন্দির থেকে প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন, তা শোনাতে বিভিন্ন মন্দিরে বড় পর্দায় ভাষণ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল বিজেপি। গুরুগ্রাম থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে রোহতক জেলার কিলোই গ্রামের একটি মন্দিরেও তেমনই সম্প্রচারের ব্যবস্থা হয়েছিল। সকালেই মন্দিরে চলে আসেন প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ গ্রোভার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রবীন্দ্র রাজু, মেয়র মনমোহন গয়াল, জেলা বিজেপি সভাপতি অজয় বনশল, নেতা সতীশ নন্দাল প্রমুখ। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই মন্দির ঘিরে ধরেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় প্রধান ফটকে। ভিতরেই আটকে পড়েন বিজেপি নেতারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে কৃষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ মন্দিরে ঢুকতে পারেনি।
কৃষকদের অভিযোগ, সকালেই আন্দোলনকারীদের প্রতি আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ। তাঁকে সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে। এ জন্য আধঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। পরে ক্ষমাও চান মণীশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্য জেলা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। দিল্লি-হিসার জাতীয় সড়ক সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।